ইংরেজিতে কথা বলার ‘ভয়’ কাটাতে পড়ুয়াদের পাশে মার্কিন তথ্যকেন্দ্র

ড়তা কাটিয়ে মুখ খুলতে সময় লাগল মোটে কয়েক ঘণ্টা। দাঁত-ভাঙা বিদেশি শব্দে ভয় পাওয়া দূরে থাক, ফুর্তি ভরা ক্লাসঘরে ঠিক উচ্চারণে গান ধরল পাড়াগাঁ-মফস্সলের মুখচোরারা।
শুক্রবার বিকেলে কলকাতার মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে ইংরেজির ক্লাস শেষে পূর্ব মেদিনীপুরের কচি-কাঁচারা যেন অন্য মানুষ। দিঘা, রামনগর, ফতেপুরের সৌভিক, চয়ন, সৌমিতা, শুভম, তুলিকারা ইংরেজিতে গোটা একটা বাক্য সামলাতেও সড়গড় নয়। বিদেশি ভাষার সেই জুজুই তবু হেরে ভূত হল। ইংরেজিতে গল্প-গান-কবিতা থেকে শুরু করে দিনভর নানা মজার খেলায় মাতল গোটা ক্লাস।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, মেধায় খামতি না-থাকলেও ইংরেজিতে ভাব-প্রকাশের অসুবিধায় মার খাচ্ছেন এ রাজ্যের শিক্ষার্থীরা। এই সমস্যা কাটিয়ে বিজাতীয় লব্জ শিখতে কথ্য ভাষা রপ্ত করার কথা বার বারই বলেন বিশেষজ্ঞেরা। কিন্তু ‘কমিউনিকেটিভ ইংলিশ’-এর কসরত এ রাজ্যে প্রয়োগ করা সে-ভাবে এখনও সম্ভব হয়নি। মার্কিন তথ্যকেন্দ্রের উদ্যোগে ব্যবহারিক ইংরেজির এই পাঠই এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাংলা মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া শুরু হল।
‘কমিউনিকেটিভ ইংলিশ’-এর ক্লাসে ছাত্ররা। শুক্রবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
কলকাতায় ইংরেজির ক্লাসে যোগ দিতে দিঘা বা আশপাশ থেকে সেই কাকভোরে রওনা দিয়েছিলেন ৬০ জন স্কুলপড়ুয়া। দিঘা বিদ্যাভবন, রামনগর রাও হাইস্কুল, রামনগর বালিকা বিদ্যালয় ও নিমতলা বালিকা বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস শেষ হতে বিকেল গড়িয়ে গেল। ‘ম্যারাথন’ ক্লাসের পরে মার্কিন তথ্যকেন্দ্রের গ্রন্থাগারও ঘুরে দেখল কিশোর-বাহিনী। এর পরে ওয়াল্ট ডিজনির সিনেমার স্বাদ-গ্রহণ। সন্ধের মুখে কলকাতা থেকে ফিরতি-সফরের আগেও পড়ুয়াদের চোখে-মুখে ক্লান্তির বদলে দুষ্টুমির ঝিলিক। ছাত্রদের উদ্দীপনার সংক্রমণ থেকে আমেরিকান সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত উপ-অধিকর্তা অ্যান্টনি ডিন ট্র্যাঞ্চিনাও রেহাই পেলেন না। অ্যান্টনিকে ঘিরে ধরে ইংরেজিতে প্রশ্ন করেই তাঁর ১০০টা দেশভ্রমণের সখ বা কলকাতার জিলিপি-প্রীতির গোপন খবরও আদায় করে নিল পড়ুয়ারা।
পূর্ব মেদিনীপুরের মতো মুর্শিদাবাদের ছাত্র-ছাত্রীদেরও ইতিমধ্যে কমিউনিকেটিভ বা ব্যবহারিক ইংরেজিতে তালিম দেওয়া হয়েছে মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে। অ্যান্টনি জানালেন, প্রত্যন্ত এলাকার অন্য পড়ুয়ারাও এই সুযোগ পাবে। শুধু শহরের নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে কর্মসূচি নয়, দূর মফস্সলের বাংলা মাধ্যম স্কুলপড়ুয়াদের কাছে পৌঁছতেও তৎপর মার্কিন কনস্যুলেট।
গ্রামবাংলার ছাত্রদের সহজে ইংরেজি-শিক্ষার পাঠ দিতে মাঠে নেমেছিলেন তিন শিক্ষক হেয়ার স্কুলের অরিন্দম সেনগুপ্ত, সোনারপুরের মেলিয়া রাইচরণ বিদ্যাপীঠের সোনালি চক্রবর্তী ও শিলিগুড়ির ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শান্তা দাস। চিরাচরিত ক্লাসের লেখা-পড়ার বদলে তাঁদের দাওয়াই হল, শোনা এবং বলা। নাটকীয় স্বরক্ষেপণে গল্প শোনা বা মজার খেলায় বানান ও উচ্চারণ-শিক্ষাও উপভোগ করেছে পড়ুয়ারা। রামনগরের স্কুলে ইংরেজির মাস্টারমশাই বিদ্যাসাগর মাহাতোও এই অভিনব ক্লাসের সাক্ষী হয়ে উত্তেজিত। তিনি বললেন, “এ ভাবে পড়াতে পারলে স্কুলের ক্লাস অবশ্যই ঢের সরস হয়ে উঠবে।”

বদলে গেল কি বর্ষার ‘রুটিন’, প্রশ্ন সেটাই

বদলে গেল কি বর্ষার ‘রুটিন’, প্রশ্ন সেটাই

র্ষা বললেই আম বাঙালির মনে আষাঢ়-শ্রাবণের অঝোর ধারা। কিন্তু গত কয়েক বছরের পর্যবেক্ষণ বলছে, আষাঢ় তো দূর অস্ৎ, শ্রাবণেও ভারী বর্ষার দেখা নেই।
খনার বচনে আছে, ‘আষাঢ়ের পঞ্চ দিনে, রোপণ করে ধানে।’ আষাঢ়ের গোড়াতেই ধান রোপণের সেই সময়সূচি মেনেই কৃষিজীবীরা এ যাবৎ চলে এসেছেন। কিন্তু এ বছর শ্রাবণেও আমনের বীজতলা তৈরি করতে পারেননি অনেকে।
শ্রাবণের মাঝামাঝি এসেও দক্ষিণবঙ্গ-সহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষকদের চিন্তায় ফেলেছে বৃষ্টির আকাল। বঙ্গোপসাগরেও নিম্নচাপের দেখা নেই। আলিপুর হাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, সাধারণ ভাবে জুলাই মাসে ৩-৪টি নিম্নচাপ পায় দক্ষিণবঙ্গ। কিন্তু এ বছর একটিও মেলেনি। মুখ ফিরিয়ে রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখাও।
তবে কি বর্ষা তার সাবেকি রুটিন পাল্টে পিছিয়ে যাচ্ছে?
আশঙ্কাটা উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবহবিদদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে দেশের পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে বর্ষা শেষ হতে হতে অক্টোবর হয়ে যাচ্ছে। এক আবহবিজ্ঞানীর দাবি, “জুনের বৃষ্টির পরিমাণ আগের থেকে কমেছে। সর্বাধিক বৃষ্টি হচ্ছে অগস্ট-সেপ্টেম্বরে।” ওই বিজ্ঞানীদের মতে, আগে বর্ষা থাকত প্রায় সাড়ে তিন মাস। এখন থাকছে তিন মাসেরও কম। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক এবং বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির ব্যবস্থাপক জয়শ্রী রায়ের কথায়, “এটা আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। জলবায়ু পরিবর্তনের ইঙ্গিতও মিলছে।”
আশঙ্কায় কৃষিবিজ্ঞানীদের একাংশও। তাঁরা বলছেন, দেশের ৬০ শতাংশ কৃষিজমিতে বর্ষার জলে সেচের কাজ চলে। তাই বৃষ্টির পরিমাণের দিকে তাকিয়েই কৃষি-নির্ঘণ্ট তৈরি হয়। কিন্তু বর্ষার এই ‘বদলের’ জেরে কৃষিকাজের বরাবরের নির্ঘণ্টও ভেস্তে যেতে বসেছে।
আদি বর্ষা মঙ্গল
আষাঢ়ের পঞ্চ দিনে
রোপণ করে ধানে
বাড়ে তার কৃষিবল
কৃষিকার্য তার সফল
শ্রাবণে বয় পুবে বায়
হাল ছেড়ে চাষা বাণিজ্যে যায়
ভাদ্র আশ্বিনে বহে ঈশান
কাঁধে কোদাল নাচে কৃষাণ।
- খনার বচন
আষাঢ়ে পূরিল মহী নবমেঘজল
বড় বড় গৃহস্থের টুটিল সম্বল
শ্রাবণে বরিষে ঘন দিবস রজনী
সিতাসিত দুই পক্ষ একুই না জানি।
- চণ্ডীমঙ্গল
আষাঢ়ে বাদল নামে, নদী ভর-ভর
মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরতর
দুই কূলে বনে বনে প’ড়ে যায় সাড়া,
বরষার উৎসবে জেগে ওঠে পাড়া।
- সহজ পাঠ
অবশ্য বর্ষার রুটিন তথা নির্ঘণ্ট বদলেছে এমন কথা এখনই ঘোষণা করতে চাইছেন না আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, প্রতি বছরই বর্ষার চরিত্রে বদল দেখা যায়। কিন্তু নির্ঘণ্ট বদলে গিয়েছে কি না, তা বলার সময় আসেনি। পুণের আবহাওয়া পূর্বাভাস দফতরের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অর্ধেন্দুভূষণ মজুমদার জানান, ১০০ বছরের গড় বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা ইত্যাদি দেখে বর্ষার নির্ঘণ্ট তৈরি হয়। তিনি বলেন, “গত ক’বছরের পরিসংখ্যান দেখেই বর্ষার নির্ঘণ্টে স্থায়ী বদল হয়েছে, এমন বলা উচিত নয়। আরও কয়েক বছর বর্ষার গতিপ্রকৃতি দেখা দরকার।”
এই খামখেয়ালিপনায় ‘এল নিনো’র প্রভাব রয়েছে কি?
প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনো’। উত্তপ্ত সমুদ্রপৃষ্ঠের সংস্পর্শে গরম হয়ে উপরে উঠে যাওয়া হাওয়ার স্রোত এলোমেলো করে দেয় মৌসুমি বায়ু-সহ ওই এলাকার বিভিন্ন নিয়মিত বায়ুপ্রবাহকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ দেশে বর্ষা আসার পথে ‘এল নিনো’ প্রভাব ফেললেও বর্ষা এসে যাওয়ার পরেও সামগ্রিক ভাবে তার প্রভাব থাকে কি না, সেটা জানা যায়নি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলছেন, “এর আগে ‘এল নিনো’র বছরগুলিতে বৃষ্টি কম হয়েছে। কিন্তু বর্ষার সঙ্গে তার সরাসরি সম্পর্ক এখনও নিশ্চিত নয়।”
তা হলে এ বছর বর্ষার ভবিতব্য কী?
মৌসম ভবন জানিয়েছিল, গোটা দেশে স্বাভাবিকের ৯৬% থেকে ১০৪% বৃষ্টিপাত হবে। কিন্তু জুলাইয়ের ২৭ তারিখ পর্যন্ত গোটা দেশে বৃষ্টি হয়েছে ৩০৯.৯ মিলিমিটার, স্বাভাবিকের তুলনায় ২২% কম। আবহবিজ্ঞান দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল এল এস রাঠৌর অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই পূর্ব, মধ্য ভারত এবং গাঙ্গেয় সমভূমিতে বর্ষা সক্রিয় হবে। ফলে বর্ষা জোরালো হতে সেই অগস্ট।
অর্থাৎ,পরিবর্তনের ইঙ্গিত। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত ‘বরাবরের রুটিন’ হয় কি না, সেটাই দেখার।

গরমকালে ত্বক ভালো রাখার উপায়


বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম:- গরমে অতিষ্ঠ হওয়ার সময় চলছে। গরম মানেই ঘাম, ঘামে ভেজা শরীর, ঘামাচি আর অস্বস্তিকর চুলকানি। কিছু কিছু চর্ম রোগ আছে যা গরম এলেই দেখা দেয়। ঘামাচি তার একটি। ঘামাচি থেকে বাঁচতে সূতি কাপড় পরুন। বাচ্চাদেরও তাই পরান। ঘাড়ে, গলায়, বগলে, কুঁচকিতে, পিঠে পাউডার দেবেন। ঘামাচি হলে শরীরে বরফ ঘষতে পারেন, উপকার পাবেন।
কিছু চর্ম রোগ আছে যা গরম এলে বেড়ে যায়। ছত্রাকজনিত রোগ যেমন দাউদ, ছুলি প্রভৃতি এর উদাহরণ। যারা দাউদে ভোগেন তারা দেখবেন গরমকাল এলেই তা বাড়তে থাকে এবং প্রচণ্ড চুলকায়। কারণ গরম এলে শরীরে ঘাম হয় এবং শরীর ভেজা থাকে।
আর ভেজা শরীরই হলো ছত্রাক জন্মানোর জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্র। ফলে শরীরে ছত্রাক বা ফাংগাস জন্মায়। তাই যাদের শরীরে ঘাম বেশি হয়, তারা সব সময় ঘামে ভেজা কাপড় এড়িয়ে চলবেন। আবার যারা শরীরিকভাবে মোটা তাদের দেহে বেশি ভাজ থাকে। সেই ভাজের মধ্যে ঘাম আর ময়লা বেশি জমে থাকে বলে দেহের ভাজমুক্ত স্থানে ছত্রাক বা ফাংগাস বেশি হতে দেখা যায়।
এক হিসেবে দেখা গেছে আমাদের দেশে প্রতি বছর কমপক্ষে ৭০-৮০ হাজার লোক বিভিন্ন রকম ছত্রাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আবার বিশ্বব্যাপী এক পরিসংখ্যাণ থেকে দেখা গেছে বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ লোক তাদের জীবদ্দশায় কখনো না কখনো এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
গরমের সময় মুখের তেল গ্রন্থিগুলোর ক্ষরণ হয় বেশি। তাই ব্রণের প্রকোপটাও থাকে বেশি। এই সময়ে তাই ঘন ঘন মুখ ধোবেন, দুই থেকে তিন বার। মুখ ধোওয়ার জন্য বাজারে বিভিন্ন রকম একনে সোপ পাওয়া যায়। লক্ষ্য রাখতে হবে ব্যবহার্য সাবানটিতে যেন থাকে সালফার, সেলিসাইলিক এসিড অথবা বেনজয়েল পার অক্সাইড।
গরমের সময় রোদের তীব্রতা থাকে বেশি। বেরুনোর আগে তাই সানস্ক্রীন মেখে নেবেন মুখে। ছাতা, রোদ চশমা প্রভৃতি ব্যবহার করুন। গরমে ভারী প্রসাধন এড়িয়ে চলুন। মেকাপ,ফাউন্ডেশন পারত পক্ষে ব্যবহার না করাই ভালো। অগত্যা যদি করতেই হয় চেষ্টা করবেন খুব কম সময় তা রাখতে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।
প্রচুর পানি পান করুন। এই সময়ে প্রচুর রসালো মৌসুমী ফল পাওয়া যায় বাজারে। সেগুলো বেশি বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। ত্বক ভালো থাকবে। সব ঋতুরই ভালো মন্দ আছে। মন্দগুলো দূরে থাকুক। ভালোটাই উপভোগ করুন।


   

বর্ষায় অ্যালার্জি

 
 
বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম:- ঠাণ্ডা লাগলে কাশি, হাঁচি, নিঃশ্বাস নেয়ার সময় আওয়াজ হয় অনেকেরই। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই চলে যায়। যদি এগুলো অ্যালার্জির জন্য হয় এবং চিকিৎসা করা না হয় তাহলে সাইনোসাইটিস, কানের অসুখ, নাকের পলিপাস দেখা দিতে পারে। এই বর্ষায় সাধারণত এসব রোগ বেশি হয়।
সুতরাং যারা ঘন ঘন কাশি, হাঁচি ইত্যাদিতে ভোগেন তাদের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। সাধারণ ঠাণ্ডা বা ফ্লু লক্ষণগুলো হলো- জ্বর, গায়ে ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি এ লক্ষণগুলো কয়েকদিনের মধ্যেই তীব্র আকার ধারণ করে। সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই লক্ষণগুলো চলে যায়। ভাইরাস থেকে এ সমস্যা হয়।
অ্যালার্জিজনিত ঠাণ্ডা: পোলেন (ফুলরেনু), পশুর লোম, ধুলা, খাবার, পোকার বিষ, ওষুধ ইত্যাদি থেকে অ্যালার্জি হয়। নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, নিঃশ্বাস নিতে আওয়াজ হওয়া বা শ্বাসকষ্ট, চোখ চুলকানো, নাক চুলকানো, গলা খসখস ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। যতদিন এ লক্ষণগুলো থাকে ততদিন অ্যালোজেনগুলো দেখা যায়। যতক্ষণ শারীরিক প্রতিক্রিয়া না থামে ততক্ষণ অ্যালোজেন থাকে।
অ্যাকিউট সাইনোসাইটিসের লক্ষণ: গায়ে হলুদ সর্দি নাক দিয়ে বের হয়, কাশি, মাথা ধরা বা ভারবোধ, নাক বন্ধ হওয়া, মুখ ফোলা ফোলা ভাব, দাঁতের ব্যথা, ক্লান্তভাব, জ্বর দেখা যায়। চিকিৎসা না হলে এসব লক্ষণ কয়েক সপ্তাহ চলতে পারে। ক্রনিক সাইনোসাইটিসের লক্ষণগুলো অ্যাকিউট সাইনোসাইটিসের মতোই। যদি সাইনোসাইটিসের লক্ষণগুলো দুই মাসের বেশি থাকে তাহলে এটিকে ক্রনিক সাইনোসাইটিস হিসেবে দেখা হয়। অ্যালার্জিও জীবাণুঘটিত সমস্যা থেকে সৃষ্টি হয়। চিকিৎসা না নিলে পরবর্তী সময়ে তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

রামজানের চাঁদ

রামজানের চাঁদ

মাহবুবা মাসুমা অনু
দুর আকাশে উঠল যখন
রামজানেরই চাঁদ,
সকল মুমিন মুসলমানের
ভাঙ্গল খুশির বাঁধ।
আমল করে হৃদয় মাঝে
ছড়িয়ে দিবে নূর,
পাপ-পঙ্কিল হিংসা-দ্বেষ
তাড়িয়ে বহুদূর।
এগারো মাসের যতেক গুনাহ
চেয়ে নিবে মাপ,
হৃদয়টাকে ধূয়ে মুছে
করে নিবে সাফ।
পড়বে কুরআন রাখবে রোজা
হবেন খোদার দাস,
ইবাদতে মশগুল হবে
মিটবে মনের আস ।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে সালমান

 
 
বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম:- এর আগেও তাকে অধিকার বঞ্চিত মানুষদের পাশে দেখা গেছে বিভিন্ন সময়ে। সাবেক প্রেমিকা সোমি আলির দাতব্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে মাঠ পর্যায়েও ছুটে গেছেন তিনি। তাই অধিকার বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর এই মানসিকতাকে তার নতুন খেয়াল বলা যাবে না কোনভাবেই। তবে বারবার হাত পেতে অর্থ জোগাড় করার অভ্যাসটাকেও পাল্টাতে চান এ তারকা। পাকাপোক্তভাবেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করতে চান সালমান খান। আর তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন ‘হিউম্যান বিয়িং’ নামে একটি গার্মেন্টস ফ্যাশন হাউস। এই হাউস থেকে আয় করা অর্থ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ব্যবহার করতে চান তিনি। মঙ্গলবার ‘হিউম্যান বিয়িং’র দুবাই শহরে যাত্রা শুরুকালে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান খোদ সালমান। এ প্রতিষ্ঠানের আয় মুম্বইয়ের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে ব্যয় করা হবে বলে জানান তিনি। মুম্বই ও দুবাই শহরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে এ ফ্যাশন হাউসটির যাত্রা শুরু হয়েছে। মূলত গার্মেন্টস শিল্পের ব্যবসা চালানো এ প্রতিষ্ঠানের মূল বাণিজ্যিক ঠিকানা হবে দুবাই শহরে।

ম্যাগসেসে পুরষ্কার পেলেন রেজওয়ানা হাসান

 
 
ঢাকা, ২৫ জুলাই (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- এশিয়ার নোবেলখ্যাত ‘র‌্যামন ম্যাগসাইসাই পৃরষ্কার-২০১২ পেয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সংস্থার (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান।
এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা হলেন তাইওয়ানের চেন সু চু, ফিলিপাইনের রমুলো দাবিদে, ভারতের কুলান্দেই ফ্রান্সিস, বাংলাদেশের সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, কম্বোডিয়ার ইয়াং সাইং কোমা এবং ইন্দোনেশিয়ার অ্যামব্রোসিয়াস রুয়িন্দরিজার্তো।
র‌্যামন ম্যাগসেসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, পরিবেশগত বিষয়ে সৈয়দা রেজওয়ানা হাসানের অপরিসীম সাহসীকতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের জনগণের ‘ভালো’ পরিবেশ পাবার অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।

ভারতের নদী সংযোগ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে প্রবাসীরা

 
 
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ২৬ মে (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- ভারতের নদী সংযোগ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। শুক্রবার বিকালে (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল) যুক্তরাষ্ট্রে পেশাজীবী বাংলাদেশিদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক’ (বেন) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধনের পর জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন ও জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হারদীপ সিং পুরীর কাছে স্মারকলিপিও দেয়া হয়।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ছাত্রছাত্রীসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর স্লোগানমুখর এ সমাবেশ ভিনদেশীদের দৃষ্টি কাড়ে। সমাবেশে জাতিসংঘের ইকনোমিক অ্যান্ড সোস্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভ­াদিমির পপোভ এই কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন।
কর্মসূচিতে বক্তব্যে আয়োজক সংগঠনের আন্তর্জাতিক সমন্বয়কারী ড. নজরুল ইসলাম ‘নদী শাসনে’র নামে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের তৎপরতার কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি আরো বলেন, ভাটির দেশের মানুষগুলোকে মেরে ফেলার মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারত প্রায় ২৫ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ে ওই নদী সংযোগ প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং তা ২০১৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের নদীগুলোকে শুকিয়ে ফেলা হবে।
এ সময় ‘নদী নাই তো মানুষ নাই’, ‘ট্রানজিট দেয়া হবে না-নদীগুলোর পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখার নিশ্চয়তা ব্যতীত’ ইত্যাদি স্লোগান দেয় সমবেতরা।
এ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বেনের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সৈয়দ ফজলুর রহমান, কলামিস্ট বেলাল বেগ, প্রবাসী বাংলাদেশিদের নেতা নূরুল কবীর, ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, বরিশাল বিভাগীয় সমিতির নেতা লুৎফর রহমান লাতু, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহিদুল হক খান।
বিক্ষোভ কর্মসূচি পর্যবেক্ষণের সময় ভ­াদিমির পপোভ বলেন, উজানের দেশ হিসেবে ভারতের নদী সংযোগ প্রকল্পকে সম্পূর্ণ অমানবিক। নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে এমন বৈরী আচরণ না করাই শ্রেয়।

সাগর-রুনি সম্পর্কে অশালীন বক্তব্য: কুয়ালালামপুরে প্রতিবাদ সভা

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি সম্পর্কে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানী কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত সাংবাদিকদের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠি হয়। প্রবাসী কণ্ঠের সম্পাদক গৌতম রায়ের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আহমাদুল কবিরের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, তালহা মাহমুদ, জোবেদ আহমদ, এস এম বশির আলম, বশির আহমদ ফারুক, কায়সার হামিদ হান্নান, বিকাশ সূত্রধর, নাজমুল হাসান, মো. আরাফাত হোসাইন, মিজানুর রহমান প্রমুখ। প্রতিবাদ সভায় এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ও সাগর-রুনির খুনিদের গ্রেফতার এবং বিচার দাবি করেছেন তারা। মালয়েশিয়া
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সীতাকুণ্ড থানার কৃতী সন্তান লায়ন আসলাম চৌধুরীর জামিন না-মঞ্জুর করায় এর তীব্র প্রতিবাদ জানান মালয়েশিয়া জিয়া বিগ্রেড। জিয়া বিগ্রেডের মালয়েশিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক তারেক সংগ্রাম ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সরকার আন্দোলনকে ভয় পায়। তাই আসলামের মতো সংগ্রামী নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে রেখেছে। তিনি কঠোর হুশিয়ার করে বলেন, আসলামকে মুক্তি দিন তা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করব ইনশাল্লাহ।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়


দিনাজপুর প্রতিনিধি, ২৭ মে (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। আমরা তাদের সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারলে তারাও সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। অন্ধদের উন্নয়নের মূল শ্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে পারলে তারাও আমাদের ন্যায় কাজ করতে পারবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠি সবচেয়ে অসহায়। তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকলে আমরা পিছিয়ে পড়বো। তাই তাদের সহযোগিতা করতে হবে।
গতকাল রবিবার কারিতাস বাংলাদেশ দিনাজপুর অঞ্চল আয়োজিত কারিতাসের নিজস্ব মিলনায়তন ‘মঙ্গলধ্যানে’ অনুষ্ঠিত ‘অন্ধত্ব ও আমাদের ভূমিকা শীর্ষক’ সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। কারিতাস বাংলাদেশ দিনাজপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক যোগেন জুলিয়ান বেসরা’র সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কারিতাস রিভিপ প্রকল্পের কর্মকর্তা রতন ডি কস্তা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী। অন্ধত্বের কারণ ও প্রতিকারের উপায় বিষয়ের উপর আলোচনা করেন দিনাজপুর গাওসুল আজম বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের ডা. কাকলী চৌধুরী। কারিতাসের জুনিয়র কর্মসূচী কর্মকর্তা শ্যামলী এফ. রোজারিও’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহন করেন দিনাজপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ফয়সাল হাবিব সুমন, কারিতাসের কর্মসূচী কর্মকর্তা স্বপন রোজারিও, সিডিসি দিনাজপুরের প্রোগ্রাম অফিসার শৈলেন চন্দ্র রায়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মোঃ নজরুল ইসলাম, দুষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলের রিসোর্স শিক্ষক সৈয়দ আক্কাস আলী প্রমূখ। সেমিনারে শিক্ষক, চিকিৎসক, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংগঠনের সদস্যসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি অংশগ্রহন করেন।

 
 

দাম্পত্য-জীবনে নারীই বেশি রোমান্টিক

কে বেশি রোমান্টিক—তুমি না আমি? মান-অভিমানের এমন তর্কের এবার একটা উত্তর মিলল। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত এক গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে দাম্পত্য-জীবনে রোমান্টিক সম্পর্কের ব্যাপারে নারীরাই বেশি তাড়িত। লন্ডনভিত্তিক জার্নাল ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টসে’ এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোবাইল ফোনে কথা বলা ও খুদে বার্তা পাঠানোর ওপর ভিত্তি করে প্রায় ৩০ লাখ বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের ওপর গবেষণাটি চালান হয়। এই গবেষণার মূল লক্ষ্যই ছিল স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক আসলে কত দিন একই থাকে কিংবা তাঁরা আসলে কতটা কাছাকাছি থাকেন—এসব প্রশ্নের উত্তর জানা। আর এ গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফলে যা পাওয়া গেছে তা হলো—অন্য কাউকে নয়, স্বামীকেই সবচেয়ে বেশি ফোন করে বিবাহিত নারীরা।
এ গবেষণায় দেখা গেছে, যুগলবন্দি জীবন পুরুষের চেয়ে নারীর কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই জীবনকে রোমান্টিক করতে নারীরাই বেশি উদ্যোগী। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, নারীরা যখন দাদি বা নানি হন, তখন স্বামীর প্রতি তাঁদের এই আগ্রহ অনেকটাই ফিকে হতে থাকে। এ সময় নাতি-নাতনিরাই তাঁদের কাছে বেশি গুরুত্ব পায়।
স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরকে ফোন করার মাত্রা থেকে গবেষকেরা প্রমাণ করেন যে পুরুষেরা তাঁদের বিবাহিত জীবনের প্রথম সাত বছর স্ত্রীদের বেশি ফোন করেন। এরপর থেকে তাঁদের মনোযোগ অন্যান্য বন্ধু-বান্ধবদের দিকে ধাবিত হয়। অন্যদিকে, ৩০-এর ঘরে পা দেওয়ার পর থেকে নারীরা স্বামীর চেয়ে কাছের বন্ধুটির প্রতি বেশি মনোযোগী হয়ে ওঠে। আর ৪৫-এর পর থেকে নাতি-পুতিরাই তাঁদের নতুন বন্ধু হয়ে ওঠে। তাই এ সময় বুড়ো স্বামীরা তাঁদের স্ত্রীর কাছ থেকে খুব কমই ফোন পেয়ে থাকেন।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ৩০-এর পরে পুরুষেরা একই বয়সী নারী সঙ্গীর সঙ্গে বন্ধুর মতো ব্যবহার করেন। কিন্তু, সাত বছর যেতে না যেতেই তাঁদের আচরণে পরিবর্তন আসে। অন্যদিকে, নারীরা ২০ বছর বয়স থেকেই একই বয়সী পুরুষ সঙ্গীকে ভালো বন্ধু হিসেবে দেখতে পছন্দ করে। তবে, ১৫ বছর পর থেকে তাঁদের এই পছন্দের খাতাতেও পরিবর্তন আসতে থাকে।
এ ব্যাপারে গবেষকেরা বলছেন, নারীদের সামাজিক জীবন আসলে একক ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে ঘুরপাক খায়। তাই প্রথমে স্বামী, তারপর ছেলেমেয়ে এবং সবশেষে নাতি-পুতির সঙ্গী হয়ে পর্যায়ক্রমে তাঁরা তাঁদের আগ্রহের ক্ষেত্রগুলোতে পরিবর্তন আনেন।
এ গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণের মাধ্যমে অধ্যাপক ডানবার প্রমাণ করতে চেয়েছেন, মানব-সমাজের পিতৃতান্ত্রিক রূপটি ক্রমেই মাতৃতন্ত্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তিনি বলেন, পুরুষেরা সম্পর্কের ব্যাপারে খুব বেশি অমনোযোগী। তাঁরা উচ্চমাত্রায় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছু বিবেচনা করতে ভালোবাসে। কিন্তু দিন শেষে দেখা যায়, নারীরাই সমাজ কাঠামোকে নিয়ন্ত্রণ করছে।

একাকী জীবন হতাশা ডেকে আনে

বর্তমান কর্মব্যস্ত পৃথিবীতে যারা একা বসবাস করেন তাদের হতাশায় ভোগার আশঙ্কা প্রায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন ফিনিশীয় গবেষকরা। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, একা জীবনযাপন করা নারীদের জন্য বাসস্থানের পরিবেশ এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে সামাজিক আনুকূল্যের অভাব ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জরিপে দেখা যায়, গত তিনদশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলোতে একা বসবাসকারীর সংখ্যা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রতি তিনটি বাড়ির মধ্যে একটি বাড়িতে বসবাসকারী পরিবারের সদস্য সংখ্যা মাত্র একজন।
একা বসবাসকারীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করার জন্য কোনো না কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সক্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান।
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নাল ‘বায়োমেড সেন্ট্রাল’ এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয় বলে শুক্রবার জানিয়েছে বিবিসি।
এ গবেষণায় ফিনল্যান্ডের ৩ হাজার ৫শ’ জন হতাশাগ্রস্ত মানুষের মানসিক মন্দারোধী ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে ১ হাজার ৬শ’ ৯৫ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৭শ’ ৭৬ জন নারী।
তাদের জীবনযাপন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার পর দেখা যায়, ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে বসবাসকারীদের তুলনায় একা বসবাসকারীদের মধ্যে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।
এ গবেষক দলের নেতৃত্বে থাকা ড. লরা পুলক্কি-রাবাক বলেন, এ ধরনের গবেষণাগুলোতে সাধারণত ঝুঁকিগুলো খুব পরিষ্কারভাবে প্রকাশ পায় না। এমনকি এদের মধ্যে কতজন মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বাইরে আছে তাও পরিষ্কার নয়।
তবে পরিবারের সঙ্গে বসবাসকারীদের জন্য বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ থাকায় তারা মানসিক ও সামাজিক সহযোগিতা পায় বলে তাদের মধ্যে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা কম দেখা দেয়। আর আলোচনা না করতে পারার কারণেই বেশি হতাশায় ভোগেন একা বসবাসকারীরা।

২১ বার পরীক্ষা দিয়ে ডিগ্রি অর্জন

দিনাজপুর প্রতিনিধি, ১০ জুন (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অধ্যবসায়ে এক সাধক ২১বার পরীক্ষা দিয়ে ডিগ্রি অর্জন করে এবার সর্বোচ্চ ডিগ্রিসহ আইনজীবি হতে চান
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য উপজেলার মহনপুর ইউনিয়নের মরহুম মহির উদ্দীনের পুত্র মোঃ খোসবুল আলম ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহন করেন। তিনি গ্রামেই ভগীরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খানসামা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহন করে ১৯৮০ ইং সালে এস এস সি প্রথম বিভাগে সাফল্য অর্জন করেন। দিনাজপুর কাদের বখস মেমোরিয়াল মহাবিদ্যালয়(কে বি এম )থেকে ১৯৮২সালে এইচ এস সি তে কৃতকার্য হয়েছেন। ১৯৮৪ সালে একই মহাবিদ্যালয় থেকে এক রেজিস্টেশনে পুনঃভর্তি আইনে ৩বার ডিগ্রি পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হন। পরিশেষে বীরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ১৭ বার ডিগ্রি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে মোট ২০ বার অকৃতকার্য হন। ২০১১ সালে ২১বার পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ডিগ্রি (বি এস এস) অর্জন করেছেন।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তরে ভগীরপাড়া গ্রামে গিয়ে গত রবিবার খোসবুল আলমের অনুভুতি জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, দীর্ঘ ২১ বছর অনেক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়িয়েছি, তারা সফলতার সাথে ডিগ্রি অর্জন করে বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। তিনি নীলফামারী হোমিও মেডিকেল কলেজে ডি এস এম এস কোর্সে ভর্তি হয়ে এলাকায় হোমিও চিকিৎস্যা সেবায় নিয়োজিত আছেন। তার জীবনের শেষ ইচ্ছা তিনি এল এল বি ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করবেন। তার ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে তাদেরও বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।

রমজানে মুড়ি ভাজা ও বিক্রি করে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে ঝালকাঠির বাসিন্দারা


ঝালকাঠি প্রতিনিধি, বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম:- রমজানে মুড়ি ভেজে পাইকারদের হাতে তুলে দিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি মুড়ি পল্লী তিমির কাঠির বাসিন্দারা। এ গ্রামের বাসিন্দারা তাদের আদি পেশা হিসেবে ধরে রেখে সারা বছরই এ কাজে তাদের সংসার চালাচ্ছে। অন্যদিকে রাজাপুরের মুড়িপাড়ায় দিন রাত মুড়ি ভাজার ধুম পরায় আগেরকার চেয়ে মহাব্যস্ত দিন কাটাচ্ছে মুড়িভাজা কারিগররা। ঝালকাঠিজেলার এ দুই উপজেলায় উৎপাদিত হাতে ভাজা ইউরিয়া বিহীন মুড়ি অত্যন্ত সুস্বাদু বিধায় এর চাহিদাও ব্যাপক। ফলে রমজান মাস এলেই দুউপজেলার মুড়িপল্লী ও মুড়িপাড়ার মানুষদের ব্যাস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুন। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধা পর্যন্ত সকলেই এখন মুড়ি ভাজার কাজে ব্যাস্ত।
সরেজমিনে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি ও রাজাপুর দুই উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি পরিবারই মুড়ি ভাজা নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেণ। শোনা যায় মাটির হাড়ির টুং টাং শব্দ। হাজারো মানুষের কর্মকাজের মধ্য দিয়ে হাতে ভাজা এ মুড়ি দক্ষিনাঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে রপ্তানি করে থাকে। রমজান মাসে রোজাদারদের কাছে ইফতারীর প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যাবহার হচ্ছে অতি সু-স্বাদু ও মিষ্টি মোটা চালের মুড়ি। মুড়ি তৈরীর কারিগররা জানান, রমজান মাসের চাহিদা তো রয়েছেই তারপরও সারা বছর হাজার হাজার মন মুড়ি এ এলাকা থেকে পাইকার ও আড়তদাররা সরবরাহ করে। সারবিহীন হাতে ভাজা এ মুড়ি স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় সাধারন মানুষের কাছে এ মুড়ি জনপ্রিয় ব্যাপক।
সরেজমিনে নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠির মুড়ি আড়তদার মো. গিয়াসউদ্দিন খানের সাথে আলাপকালে জানান, এক সময়ে দেশের অণ্য ১০ টি গ্রামের মতই এ গ্রামের লোকেরা নিজেদের প্রয়োজনে মুড়ি ভাজতেন। ১৯৮৫ সালে পার্শ্ববর্তী গ্রাম জুরকাঠির বাসিন্দা আমজেদ মুড়ি ভেজে তা বাজারে বিক্রি শুরু করলে তিমিরকাঠির বেশকিছু পরিবার সংসারের বাড়তি আয়ের জন্য মুড়ি ভেজে বিক্রি শুরু করে। মুড়ি তৈরীর কারিগর দেলোয়ার, খাদিজা জানান, এ এলাকায় মুড়ির জন্য উপযোগী মোটা, নাখুচী ও সাদা মোটা নামের ৩ প্রজাতির ধান ভাল ফলে বলে মুড়ি উৎপাদন করতে ভাল হয়। বানিজ্যিকভাবে মুড়ি ভাজার সঙ্গে ৩ যুগ ধরে জড়িত ভুইয়া বাড়ির ৪২ ঘরের সবাই মুড়ি ভাজার পেশায় নিয়োজিত। দৈনিক গড়ে ১শ’ কেজি মুড়ি ভাজতে পারলে খরচ বাদ দিয়ে ৭/৮শ’ টাকা লাভ হয়। তবে নিজেরা ধান কিনে সিদ্ধ করে শুকিয়ে মুড়ি ভেজে শহরে নিয়ে বিক্রি করলে দ্বি-গুন লাভ হয়। তাই স্বল্প পূজিঁ খাটালে একজন বিক্রেতা শুধুমাত্র রমজান মাসে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারে বলে জানা।
সরেজমিনে রাজাপুর উপজেলার মেডিকেল মোড় সংলগ্ন মুড়িপাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি বাড়িতে মুড়ি ভাজার ধুম চলছে। মুড়ি ভাজতে চাল নিয়ে আসা দূর-দূরান্তের মানুষদের দীর্ঘ লাইনও চোখে পড়ার মতো। মুড়ি ভাজার ফাকে আলাপকালে কারিগড় মিতু রানী দাসের জানান, ষাট থেকে সত্তর বছর পর্যন্ত মুড়ি গ্রামে মুড়ি ভাজা চলে আসলেও সে নিজে ২৫/৩০ বছর পর্যন্ত মুড়ি ভেজে চলেছেন। প্রতিদিন তারা একেক জনে আড়াই থেকে তিন মণ মুড়ি ভাজেন। মুড়িভাজা কারিগর অনিতা রানী দাস জানান, অনেক দূর থেকে মানুষজন চাল নিয়ে তাদের কাছে মুড়ি ভাজাতে আসেন। প্রতিকেজি চালে আগে ১০ থেকে ১২ টাকা ভাজার খরচ নেয়া হলেও এখন একটু বাড়তি চাপ ও চুলার জ্বালানির খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৫ টাকা নেয়া হচ্ছে। শুধু রমযান মাসে মুড়ির চাহিদা একটু বেশি থাকলে এক মাস তারা ব্যস্ত সময় পার করলেও বছরের অন্যসময় তাদের কাজের চাপ কমে যায়। এক্ষেত্রে সরকারী সহযোগীতায় বছরের অন্যান্য সময়েও তারা মুড়ি বাজা ও বাজারজাত করনের সংশ্লিষ্ট থাকতে পারলে তারা সবাই কিছু বাড়তি আয়ের মুখ দেখতে পারে।
এ সব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপকালে জানান, গ্রাম এলাকার মানুষেরা কৃষি কাজের বাইরে বাড়তি আয়ের তেমনকোন সুযোগ পায়না।সেখানে এ সব এলাকার অধিবাসীরা নিজেদের প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যকর মুড়িভেজে বিক্রি করে কিছুটা হলেও বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এঅবস্থায় সরকারী বেসরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মুড়ি ভাজা ও বাজারজাত করনের মাধ্যমে পল্লী এলাকার এসব পরিবারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারে।{ source-- http://www.bdnationalnews.com }


   

১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৮ গ্রামের জনসাধারন চরম দূর্ভোগ রাজাপুরে একটি রাস্তার জন্য !


ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ১৪ জুলাই (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া টেম্পুস্ট্যান্ড থেকে হাজিরহাট পর্যন্ত সড়কের দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল অবস্থা। গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ২কিলোমিটার এই সড়ক দিয়ে ৮টি গ্রামের ১০ সহশ্রাধিক লোকজনসহ আশেপাশের ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা হাঁটু সমান কাদা পাড় হয়ে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগে স্কুলে যাতায়াত করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার লেবুবুনিয়া বাজার সংলগ্ন নারিকেলবাড়িয়া টেম্পুস্ট্যান্ড থেকে রোলা মাদ্রাসা হয়ে হাজির হাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি দিয়েই লেবুবুনিয়া বাজার থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ৮টি গ্রামের ১০ সহশ্রাধিক মানুষের হাঁটু সমান কাদামাটি গায়ে মেখে চলাচল করতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয় একই উপায়ে চরম দুর্ভোগে আশেপাশের ৫টি মাদ্রাসা, ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করছে। ফুলহার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন খান জানান, গত সরকারের সময় পুরো সড়কটি পাকা করার কথা বলে কাজ শুরু করলেও মাত্র আধা কি:মি: কাজ করার পর বন্ধ হয়ে যায়। পরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বলেছে, তৎকালীন এমপি শাহজাহান ওমর নাকি একাজ কেটে অন্য রাস্তা করার জন্য নিয়েছে। সাতুরিয়ার কাজি সোবাহান আকন বলেন, ইতিপূর্বে পাকা করা আধা কিলোমিটার সড়কও এখন ভেঙে খালের সাথে মিশে এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। রোলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার জানায়, বর্ষার সময়ে রাস্তায় এত বেশি কাদা হয় যে মাদ্রাসায় যেতে অনেক কষ্ট হয়। প্রাই ছাত্রছাত্রীরা পা ফসকে পড়ে বইপত্র ও জামাকাপড় নষ্ট হলে বাড়ী ফিরে যায়।
এব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, অতি শিগগিরই ওই সড়কের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। { Source-- http://www.bdnationalnews.com/environment/ }

 
 

জয়পুরহাট সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৮

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, ২৬ জুলাই (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- জয়পুরহাট সরকারি কলেজ মাঠে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে হাসান (২১), তৌফিকুর (২০) ও শাহাদৎ (১৯) এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে জেলার আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তঃ বিভাগ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ সংঘর্ষের জের ধরে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত কলেজ বন্ধ ঘোষনা করেছে কর্তৃপক্ষ।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একরামুল হক জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলা চলাকালে হঠাৎ করেই ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় দলের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তী যেকোন ধরনের নাশকতা এড়াতে আজ হতে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত কলেজ বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
{  source-- http://www.bdnationalnews.com }

জবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১২ অক্টোবর থেকে

জবি প্রতিনিধি, ২৭ জুলাই (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ সম্মান শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১২ অক্টোবর থেকে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমিটির সভায় এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী ১২ অক্টবর ‘এ’ ইউনিটের, ১৯ অক্টবর ‘বি’ ইউনিটের, ২ নভেম্বর ‘সি’ ইউনিটের, ৯ নভেম্বর ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

ঝালকাঠির বিভিন্ন ফাষ্টফুডের দোকানে যৌন উত্তেজক সিরাপ ‘বি-জিনসিন’ বিক্রি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ১৭ জুলাই (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- ঝালকাঠির বিভিন্ন ফাষ্টফুড ও কনফেকশনারীর দোকান গুলোতে এনার্জি ড্রিংক এর নামে বিক্রি করা হচ্ছে যৌন উত্তেজক সিরাপ ‘বি-জিনসিন’। বিএসটিআই এর অনুমতি ছাড়া খাবারের দোকানে এধরনের পন্য বিক্রি করা সম্পুর্ন অবৈধ বলে বিএসটিআই সুত্রে জানা গেছে। এটি একটি ইউনানী কোম্পানী কর্তৃক প্রস্তুত কৃতবলে এই প্রডাক্টে বিএসটিআই এর কোন অনুমতি লাগেনা বলে জানান স্থানীয় পরিবেশক।
ওষধ প্রশাসন সূত্র জানায়, এ সিরাপ যে প্রতিষ্ঠান বিক্রি করবে অবশ্যই ঐ প্রতিষ্ঠানের ড্রাগ লাইসেন্স থাকতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্স ব্যাতিত এসব সিরাপ বিক্রি করা সম্পুর্ন অবৈধ। সিরাপের বোতলের গায়ে প্রস্তুতকারকের নামের স্থানে লেখা রয়েছে ‘বিসমিল্লাহ ল্যাবটারী (ইউনানী) নারায়নগঞ্জ, বাংলাদেশ’। বর্তমানে যুবকরা ফাষ্টফুডের দোকান থেকে দেদারছে ক্রয় করে তা মাত্রাতিরিক্ত সেবন করছে। যৌন উত্তেজনা বাড়াতে এ সিরাপ অতিরিক্ত সেবন করলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা তা জনতে চাইলে হোমিও চিকিৎসক ডাঃ মোঃ লিয়াকত আলী শামীম জানান, এ সিরাপ যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শনুযায়ী সেবন করবে। কেউ যদি অতিরিক্ত সেবন করে তাহলে তার মাথায় স্থায়ী ভাবে যন্ত্রনা, শরীর ঘামবে ও চোখ লাল হবে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের ডাঃ মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, এ সিরাপের গায়ে চীনের জিনসিন গাছের ছবি ছাপানো থাকলেও এসব বে-নামী কোম্পানীর সিরাপ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারন উপায়ে তৈরি করা হয়। ঝালকাঠির যে সকল ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে এনার্জি ড্রিংক এর নামে ‘বি-জিনসিন’ সিরাপ বিক্রি করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্থক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন ভুক্তভূগী অভিভাবক মহল।
 {সুত্র - http://www.bdnationalnews.com}

নাটোরে শ্বাসরুদ্ধ করে দুই সন্তানের জননীকে হত্যা

নাটোর প্রতিনিধি, ২৩ জুলাই (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- নাটোরে পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই সন্তানের জননী বিলকিস খাতুনকে (২৭) শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিলকিস উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের আ: গফুর মন্ডলের মেয়ে। এ ঘটনায় বিলকিসের ভাই আব্দুস সালাম বাদি হয়ে রোববার লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
লালপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বিলকিস খাতুন ও তার স্বামী শহিদুল ইসলাম এর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শহিদুল ঘরের দরজা বন্ধ করে স্ত্রীকে মারপিট করে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে। পরে আশংকাজনক অবস্থায় ভ্যানগাড়ীতে করে লালপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
স্ত্রীর লাশ বাড়িতে আনার পর ৭ বছর ও ৫বছর বয়সের ২ সন্তানকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী শহিদুল। শহিদুল উত্তর লালপুর গ্রামের রহিত মন্ডলের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লালপুর থানার এস আই আসাদুজ্জামান জানান, লাশের শরীরে তেমন আঘাতের চিহ্ন নেই, গলায় হালকা দাগ রয়েছে। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বিলকিসের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর আধুনক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গাইবান্ধায় বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন

সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি, ২৬ জুলাই (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঘাতক বড় ভাই ও ভাবীসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার শান্তিরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার শান্তিরাম গ্রামের মৃত- কছর আলী দফাদারের পুত্র কোরবান, ফয়জার ও মশিউরের সাথে ছোট ভাই একাব্বর হোসেনের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার বিরোধপূর্ণ জমিতে মশিউর আমন ধানের চারা রোপন করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে বড় ভাই ফয়জারের লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই ছোট ভাই একাব্বর হোসেন (৫০) মারা যায়। একাব্বরের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পালানোর সময় এলাকাবাসী বড় ভাই ও ভাবীসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
গাইবান্ধা জেলার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, সুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মনজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

যমুনা সার কারখানায় ১৫০ কোটি টাকা মুনাফা

ঢাকা, ২৭ জুলাই (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) পরিচালিত যমুনা সার কারখানা ২০১১-২০১২ অর্থবছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে। ২০১০-১১ অর্থবছরেও এ সার কারখানার লোকসানের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৩০ কোটি টাকা।
  
বিসিআইসি সূত্রে জানা গেছে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের (২০১১-১২) প্রথম দিকে গ্যাস সংকটের কারণে যমুনা সার কারখানার উৎপাদন প্রায় দুইমাস বন্ধ থাকা সত্ত্বেও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী নির্দেশনায় অর্থবছরের পরবর্তী ১০ মাসে এ কারখানায় মোট তিন লাখ ২৭ হাজার ৫১২ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত এ সারের বাজার মূল্য প্রায় ৫৮৯ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, যমুনা সারকারখানার উৎপাদিত মোট সারের মধ্যে দুই লাখ ৩৯ হাজার ১৫৯ মেট্রিক টন সার ইতোমধ্যেই বিক্রি করা হয়েছে। এতে আয় হয় ৪৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বাসসকে বলেন, “দেশে ইউরিয়া সারের ঘাটতি পুরণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ইউরিয়া সারকারখানাগুলোকে আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাপানের কোভে স্টিল মিলের তৈরি ইউরিয়া স্টিপার যমুনা সারকারখানায় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে সার উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় এ কারখানাটি আবারও লাভের মুখ দেখছে।”
এদিকে যমুনা সারকারখানায় ৮৮ হাজার ৩৫৩ মেট্রিক টন সার এখনো মজুদ রয়েছে। চলতি রোপা আমন মৌসুমে এই সার বিক্রি করা হবে।এ সার কারখানায় বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন এক হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন সার উৎপাদিত হচ্ছে।”
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, “এ কারখানায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যও প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্যাস টারবাইন জেনারেটর (জিটিজি) স্থাপনেরও কাজ চলছে।”
মন্ত্রী বলেন, “জিটিজি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হলে যমুনা সারকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।” ফলে এ কারখানায় সার উৎপাদন সার্বক্ষণিকভাবে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সূত্র: বাসস।

জনতা ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস আটক ১৬


ঢাকা, ২৭ জুলাই (বিডিন্যাশনাল নিউজ ডটকম):- জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে পুরান ঢাকার সিদ্দিক বাজারের একটি হোটেল থেকে প্রশ্নসহ তাঁদের আটক করা হয়। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। র‌্যাব-১০-এর কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন জুবায়ের সালাউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বংশাল থানাধীন সিদ্দিক বাজার এলাকার শুভেচ্ছা হোটেলে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব ওই ১৬ জনকে আটক করে। তাঁদের কাছ থেকে হাতে লেখা একটি প্রশ্নপত্রের বেশ কিছু অনুলিপি উদ্ধার করা হয়। এই প্রশ্নপত্রে মোট ১০০টি প্রশ্ন ছিল। র‌্যাব জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।


জনতা ব্যাংক সূত্র জানায়, আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এমসিকিউ (বহু নির্বাচনী প্রশ্ন) ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৭৮ হাজার পরীক্ষার্থী এতে অংশ নিচ্ছেন।
র‌্যাব জানায়, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর উদ্ধার করা প্রশ্নপত্র জনতা ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন কি না, তা বোঝা যাবে। আটক ব্যক্তিরা এখন র‌্যাবের হেফাজতে আছেন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিল পাওয়া সাপেক্ষে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[Source - {http://www.bdnationalnews.com}]

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ অন্ধকারে : আকবর আলী

 


   
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ অন্ধকারে এই মন্তব্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান বলেছেন, যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তাতে আদৌ নির্বাচন হবে কী না, আর হলে কার অধীনে, কীভাবে হবে তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘রাজনৈতিক সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা’ আয়োজিত ‘চলমান রাজনৈতিক সংকট: উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষায় পেশাদার রাজনীতিবিদদের হাতে রাজনীতি থাকতে হবে। ক্ষমতার উৎস জনগণ হয়ে থাকলে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে আমাদের এগিয়ে আসতেই হবে।
আকবর আলী খান বলেন, যদি স্বাধীনতার মূল চেতনাকে রক্ষা করতে হয়, তবে অবশ্যই গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে হবে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারলেই রাষ্ট্রীয় চারটি মূল নীতির বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
তার মতে, যে কোনো সংকট উত্তরণের প্রধান উপায় হলো সংকটের অস্তিত্ব স্বীকার করা। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এ সংকটের কথা স্বীকার করতে চান না। এক্ষেত্রে সরকারি দল এগিয়ে থাকে সব সময়।
{source - http://www.bdnationalnews.com}